জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪-এ সংসদ সদস্য প্রার্থীদের কাছে জনদাবীসমূহঃ
১। চাঁদপুরে প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি করার দিকে নজর দিতে হবে। প্রযুক্তি নির্ভর ফ্যাক্টরিগুলোকে চাঁদপুরে স্থাপন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২। চাঁদপুরের যানজট নিরসনের জন্য ও চাঁদপুরের সাথে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ সহয করতে নদী ও স্থল পথ সুগম এবং বৃদ্ধি করতে হবে। ইচুলিতে ডাকাতিয়া নদীর উপর ব্রীজ স্থাপন করতে হবে। চাঁদপুর শরিয়তপুর যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চাঁদপুরের মানুষের দাবি একটি রেল-লাইন এবং ব্রীজ স্থাপন করা।
৩। চাঁদপুর পৌর অডিটোরিয়ামের উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করে অনতিবিলম্বে সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসবী সংগঠন ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া।
৪। চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আরো শয্যা বৃদ্ধি করে দেশের উন্নত ডাক্তারদেরকে এখানে স্থায়ী বসবাসের সুব্যবস্থা করা যাতে পুরো চাঁদপুর জেলা ও তার আশে পাশের জেলার মানুষ এখানেই ঢাকার মত উন্নত চিকিৎসা নিতে পারে।
৫। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ যত দ্রুত সম্ভব পরিপূর্ণ করতে হবে এবং প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।
৬। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চায় ছাত্র সংসদকে চালু করতে হবে।
৭। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একেকটি গবেষনার কেন্দ্র হিসেবে পরিনত করতে হবে।
৮। আমাদের দেশের মেধাবীদের ব্রেইন ডেইনকে নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে।
৯। চাঁদপুর এর স্থাপিত ফ্যাক্টরি ও এর কৃষিজ সম্পদকে রপ্তানি বেইসড করার জন্য সুব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি চাঁদপুর এর পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করে এর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে হবে।
১০। যেহেতু চাকুরির তুলনায় কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশী তাই চাকুরির ব্যবস্থা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি এই কর্মক্ষম যুবকে বসিয়ে না রেখে গিগ ব্যাসড ইকোনমিতে প্রাধান্য দিতে হবে। চাঁদপুরে গিগ ইকোনমির একটি অংশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর অনেক উন্নত হচ্ছে। তাই এই সেক্টরকে চাঁদপুরে পরিচর্যা করতে হবে।
১১। কয়লা ও গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি ব্লু ইকোনমির কনসেপ্ট ব্যবহার করে উইন্ড টারবাইন, ওয়েভ পাওয়ার, সোলার পাওয়ার ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। যাতে দেশের রিজার্ভের উপর চাপ কম পরে।
১২। চাঁদপুরসহ দেশের প্রায় সকল নৌ ও স্থল বন্দরগুলোকে চাঁদাবাজ মুক্ত রাখতে হবে। রপ্তানি নির্ভর বাংলাদেশ-এর রুপরেখাকে বাস্তবায়ন করতে কাস্টমসকে ঝামেলাবিহীন করতে হবে। সরকারের সকল সেক্টরে দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে হবে। চাঁদপুরের যুব সমাজকে রক্ষার জন্য মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৩। চাঁদপুরে – মাটি, পানি ও বাতাস সুরক্ষা তথা পরিবেশসম্মত ও দূষণমুক্ত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং নদী-খাল-বিল-ডোবা-লেক-ড্রেইন ইত্যাদি দখলমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা এবং দৃষ্টি নন্দন করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৪। যেহেতু আজকের যুবরাই ভবিষ্যতের কর্ণধার, তাই সকল পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যুব প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
১৫। দেশী স্টার্টাপগুলো ইউনিকর্ন স্টেজে উঠার আগেই ঝড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে স্টার্টাপ বান্ধব পলিসি তৈরি করতে হবে। দেশে কত স্টার্টাপের উত্থান হচ্ছে, কত ইউনিকর্ণ তৈরি হচ্ছে, স্টার্টাপগুলো কেনো অসফল হচ্ছে এ বিষয়ে প্রতি বছর সরকারীভাবে রিপোর্ট পাবলিশ করতে হবে। চাঁদপুরে স্টার্টাপ ও উদ্যোক্তাদের জন্য আইটি পার্ক স্থাপন করতে হবে।
১৬। বর্তমান বিশ্ব, প্রযুক্তি নির্ভরতার পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) দ্বারা অনেক বেশী প্রভাবিত হচ্ছে। এই AI-এর ক্ষতিকারক দিকগুলো থেকে দেশকে রক্ষা করতে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে দেশের নারীরা AI দ্বারা হ্যারেসমেন্ট/হয়রানীর শিকার হলে কিভাবে সরকারি সহায়তা পাবে তার একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকর রূপরেখা তৈরি করতে হবে।
১৭। ব্লু ইকোনমির সাথে সামঞ্চস্য রেখে দেশের ইকোনমিকে সাজাতে হবে। বাংলাদেশের টুরিজম সেক্টরকেও ব্লু ইকোনমি অনুযায়ী গড়ে তুলতে হবে।
১৮। বাংলাদেশ ও চাঁদপুরের সকল রকম তথ্য – অ্যানালিটিস্ক, স্ট্যাটিস্টিক্স আকারে প্রকাশ করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। যাতে দেশের নাগরিক আরো সচেতন হতে পারে।
১৯। পর্যটন এরিয়াগুলোকে নিজেস্ব স্বকিয়তায় সাজিয়ে দৃষ্টি নন্দন করতে হবে। পর্যটন খাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোকে বাধাই করে পর্যাটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। টুরিস্টদের জন্য সুন্দর অনলাইন গাইড তৈরি করতে হবে।
পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করুনঃ
Discussion about this post